রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
গিনেস বুকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু

গিনেস বুকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন তাৎপর্যে দেশ ও বিশ্বসভায় তাঁর যোগ্য আসনটি অর্জন করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বিশ্ব সভায় আজ অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের শৈল্পিক কথামালার সংগ্রাম ও মুক্তির যাত্রাপথের অনন্য শৌর্যে ইউনেস্কোর কাছে বিশ্ব ঐতিহ্যে সমাদৃত। নতুন আর এক সম্ভারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শস্যচিত্রের মর্যাদায় বিশ্ব দরবারে পৌঁছানোর অপেক্ষায়। ধন ধান্য পুষ্প ভরা, নদীমাতৃক সম্ভাবনাময় কৃষি অর্থনীতির অভাবনীয় যোগসাজশে বাংলাদেশ আপন মর্যাদায় উদ্ভাসিত। আর সেই অবিস্মরণীয় কর্মযোগের অংশীদারিত্ব পাচ্ছে জাতির জনকের ঐতিহাসিক প্রতিকৃতি। আর তাই শস্যসম্ভারে আকর্ষণীয় সৃজন বোধের অনন্যতায় বঙ্গবন্ধুর মুখাবয়বকে শস্যের আভরণে তৈরি করে বিশ্বসভায় নিয়ে যাওয়া আর এক সুমহান কীর্তি। বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয়ার অপেক্ষায় এই নান্দনিক সৃজন চিত্র। বাংলাদেশের বগুড়ার শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে ১২০ বিঘা জমির ওপর অঙ্কিত জাতির পিতার ছবি তার মহান প্রস্তুতি পর্বের শেষ লগ্নে। শস্যভূমিতে বঙ্গবন্ধুর যে পোর্ট্রটে তার অসাধারণ ব্যক্তি শৌর্যের অনমনীয় চেতনায় আঁকা হয়েছে সেখানে বজ্রকণ্ঠের স্বাধীনতার ভাষণও সবাইকে গর্বিত করবে। এ জীবন্ত চিত্র স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিরল উপহার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে ফসলের মাঠে শস্য বুনে জাতির জনকের ছবি উদ্ভাসিত করা তাও যেন সুজলা, সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য। যা সুমহান বিশ্বনেতাকেই যেন গিনেজ বুকে অন্তর্ভুক্ত করারই এক মহান ও বিশাল কর্মসাধনা। এটিও গুরুত্বপূর্ণ, জাতির জনককে বাংলার পলিমাটির বুকে শস্যের রঙ-তুলিতে সাজিয়ে তার চিরস্থায়ী সম্মানকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া। সঙ্গত কারণে স্বাধীনতা অর্জনের যথার্থ সময়ে উদাত্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু আহ্বান করেছিলেন দেশে সবুজ বিপ্লবের। গ্রাম বাংলার সার্বিক উন্নয়নে বগুড়ার শেরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন পল্লী-উন্নয়ন একাডেমি। যা বাংলার পিছিয়ে পড়া কৃষকদের নবোদ্যমে সম্ভাবনায় ভবিষ্যত গড়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শস্যচিত্রের শেষ পর্যায়ে এসে এমন সব স্মৃতিও সবাইকে আবেগে আপ্লুত করে দেয়। বিশালাকার এই শস্য আবৃত বঙ্গবন্ধুর মহান প্রতিকৃতি গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে সম্মানিত হওয়ার অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে গিনেজ বুকের দুই সদস্যের প্রতিনিধি শস্যচিত্র পর্যবেক্ষণ করেন। যাচাই বাছাই করার পর সূক্ষ্মভাবে তা প্রত্যক্ষও করেন তারা। অনলাইন সার্ভারের মাধ্যমে এই শস্য চিত্রের আয়তনের পরিধিও নির্ণয় করা হয়। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে দুই গবেষককে মনোনীত করা হয়। এই দুই কৃষিবিদ বলেন, গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রাসঙ্গিক সব উপাদানই শেরপুরের এই ফসলি জমিতে আছে। কয়েকদিনের মধ্যে শস্যচিত্রের ভিডিও এবং দালিলিক সকল বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে। আর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষের দিনটিতেই ইতিহাসের এই অপার ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্তি হয়ে বিশ্ববাসীকে চমক দেবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে অবিমিশ্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা শস্যচিত্রের নতুন এই বিশাল কর্মযজ্ঞ তারই অনন্য উপহার। গ্রামের কয়েকজন কৃষক প্রতি বিঘা ফসলি জমি ছয় মাসের জন্য ৯ হাজার টাকায় লিজ দেন কর্তৃপক্ষকে। কৃষকরা এ নিয়ে গর্বিত ও আনন্দিত। শস্যচিত্র রোপণের জন্য বেগুনী ও সবুজ রঙের বিশেষ ধানের চারা নির্মাণকারীদের বিবেচনায় আনতে হয়। এই অসাধারণ শস্যচিত্রটি সার্বক্ষণিক তদারকি ও নজরদারিতে আছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কোম্পানি। ঐতিহাসিক এই শিল্প ও সৃজন দ্যোতনা বিশ্ব সভায় নতুন করে বঙ্গবন্ধুকে আপন মহিমায় তুলে ধরবে। তেমন প্রত্যাশায় দেশের মানুষ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com